সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
ইমতিয়াজুর রহমান।। ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে জমে উঠতে শুরু করেছে ভোলার কোরবানীর পশুরহাট। ইতিমধ্যে বিক্রেতারা দূর-দূরান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন। তবে এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি বেচা-বিক্রি। ক্রেতারা হাটে এসে পশু দেখছেন এবং দরদাম করছেন। তবে হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর সমাগম না থাকায় চড়াও মুল্যে দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। যা নাগালের বাইরে বলে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতা বলছেন, গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি থাকায় দাম একটু বেশী হওয়ায় দাব বেশী।
ঈদের দুই তিন আগে বেচা-বিক্রি বাড়বে বলে মনে করছে হাট কর্তৃপক্ষ। বাজারে ভারতীয় গরু আমদানি না হলে, ভালো দাম পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন খামারিরা।তবে পশুর হাটে চাহিদার চেয়ে বেশী পশু মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগ। এদিকে হাটগুলোতে নিরাপত্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
বিগত বছর কোরবানীর ঈদে পশুর দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকলেও এ বছর দেশীয় গরুর দাম অনেকটা আকাশ চুম্বি। হাটগুলোতে দেশীয় গরুর ব্যাপক সমারোহ থাকায় ইচ্ছেমত দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে পশুরহাট সরগরম হলেও চাহিদা অনুযায়ী এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী গরু সরবরাহ থাকলেও দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভোলার বড় হাটগুলোর মধ্যে চরনাবাদ,গজারিয়া,ইলিশা,পরানগঞ্জ, বাংলাবাজার,ঘুইংগারহাট, লালমোহন, চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিন অন্যতম। এসব হাটে বিভিন্ন এলাকার গরু সরবরাহ হয়ে থাকে।
হাটে গরু কিনতে আসা আবিদুল আলম,মনজিল সহ আরো অনেকে জানায়, এ বছর বাজারে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশীয় গরুর দাম অনেক বেশী চাচ্ছে ক্রেতারা। ভোলার মতো দ্বীপ জেলা হিসাবে তা বেমানান। গত বার যে গরু ৮০ হাজার টাকায় কিনেছি সেই গরু এবার ১লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা চাচ্ছে। তবে এখন সবাই গরু দেখছে আশাকরি ঈদের আগে দাম কিছুটা কমবে। তখন সবাই কিনবে। এদিকে বিক্রেতারা আরো জানায়, এবার বাজারে দেশী গরুর সমারহো প্রচুর। দাম যদি নাগালের মধ্যে থাকে তাহলে ভারতীয় গরুর জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা। সবাই দেশী গরু দিয়ে কোরবানি দিতে পারবে। তার জন্য বাজারে মনিটরিং জোরদার করা দরকার বলে জানান। দবে আমরা আশাকরি দিন যতো গরাবে গরুর দাম ততো কমে আসবে।
এদিকে গরুর বিক্রেতা মাইনউদ্দিন জানায়,গো-খাদ্যের চড়া দামের কারণে গেলবারের চেয়ে এবার কিছুটা বেশি দাম চাচ্ছি। দুইটি গরু কিনছি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে খরচ করছি আরো ৫০ হাজার টাকা। কিন্তুু ক্রেতারা দাম বলছে আড়াই লাখ। এতে তো আমাদের লোকসান হবে।গরু ব্যবসায়ী শাহে আলম, রফিক ও মোতাহার বলনে, হাটে আপাতত চাঁদাবাজি নেই, তবে জাল টাকা সনাক্তকরন মেশিন না থাকায় আমরা অনেকটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, জেলার অনুমোদিত ৭৩টি হাটে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা খুব শিগ্রই প্রতিটি হাটে জাল টাকা সনাক্তকরন মেশিন স্থাপন করছি। এছাড়াও গরুপ্তপূর্ন ২২টি হাটে পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। চাদাঁবাজি ও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষনিক পুলিশের মনিটরিং রয়েছে।
জেলা প্রানী সম্পদ দপ্তরের হিসেবে, জেলার সাত উপজেলায় সর্বমোট ৯৩টি পশুর হাট রয়েছে। যারমধ্যে ৫৬টি স্থায়ী এবং ৩৬টি অস্থায়ী। জেলায় মোট পশুর চাহিদা এক লাখ ৫ হাজার থাকরেও মজুদ রয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৪২৭টি। মোট হাটের মধ্যে সদরে ১৫টি, দৌলতখানে ৬টি, বোরহানউদ্দিনে ১২টি, তজুমদ্দিনে ৫টি, লালমোহনে ২৬টি, চরফ্যাশনে ২২টি ও মনপুরা উপজেলায় ৭টি হাট রয়েছে। জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এ বছর ১৬টি মেডিকেল গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছে। তবে এখন পর্যন্ত রোগাক্রান্ত বা মোটাতাজাকরন গরু পাওয়া যায়নি। শেষ মুহুর্তে পমুর হাট জমে উঠেছে। কেনা-বেচা চলছে ১১ আগষ্ঠ পর্যন্ত। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৭৮ হাজার ৮৩৮, ছাগল ২৮ হাজার ৩৮৬, মহিষ ১ হাজার ৫৫৬ ও ভেড়া ১ হাজার ৬৩৭টি। যা গত বছরের চাহিদার তুলনায় ৫ হাজার বেশি। কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে ভোলা জেলার ৫শতাধিক হাটে
Leave a Reply